খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি, যা জানা গেল

 



খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মো. মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার বেলা ১২টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হলে আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।


খুলনা সার্জিক্যাল এলাকায় রাস্তার ওপর তাকে গুলি করা হয় বলে দাবি করেছিলেন মোতালেব। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো ধরনের আলামত না পেয়ে তদন্ত চালিয়ে তন্বী নামে এক নারীর সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। পরে ওই নারীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এক রাউন্ড পিস্তলের খোসা, মদের ৫টি খালি বোতল, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম এবং অনৈতিক কাজের সামগ্রী ও আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।


সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাসার ভেতরেই তাকে গুলি করা হয়। তবে তিনি প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তিনি গুরুতর আহত না হলেও তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।


জানা গেছে, মোতালেব শিকদার পেশায় একজন ট্রাকচালক। তিনি এনসিপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় পদ লাভ করেন। সম্প্রতি তিনি একটি প্রাইভেট কার কেনেন। গাড়ির পেছনের কাচে দলীয় পদের স্টিকার লাগিয়ে চলাচল করতেন। যেখানে গুলির ঘটনা ঘটেছে, সেটির ভাড়াটিয়া তন্বী নামে এক নারী। তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। বিগত কয়েক মাস যাবৎ মোতালেবের সাথে তন্বীর সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। এই বাড়িতে মোতালেব প্রায়ই অবস্থান করতেন। ঘটনার পর দরজায় তালা দিয়ে তন্বী পালিয়ে গেছেন।


খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম জানান, মোতালেবের দাবি অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলির কোনো আলামত না পেয়ে পুলিশ অধিকতর তদন্ত শুরু করে। সেখান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি প্রাইভেট কার পাওয়া যায়। সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ স্মরণি আল আকসা মসজিদ রোডের ১০৯ নং হোল্ডিংয়ের ‘মুক্তা হাউজ’কে ঘটনাস্থল হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। এ বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে তন্বী বসবাস করেন। পুলিশ তন্বীর বাসায় প্রবেশ করে এক রাউন্ড পিস্তলের গুলির খোসা, বিদেশি মদের ৫টি খালি বোতল ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আগের রাতে সাড়ে ১২টার দিকে মোতালেবসহ তিনজন এই বাসায় আসেন। সেখানে নারীও ছিল। তাদের মধ্যে কোনো অন্তর্কোন্দলের কারণে গুলির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে কারা জড়িত এবং কেন এই ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করে জানা যাবে।


খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানান, গুলিটি কানের চামড়ায় আঁচড় কেটে পাশ দিয়ে বের হয়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো।


মোতালেব শিকদারের স্ত্রী ফাহিমা তাসনিম ঝুমুর বলেন, রবিবার রাতে তিনি (মোতালেব) খুলনা মেডিকেলে এক রোগীর সঙ্গে ছিলেন। রাতে বাসায় আসেননি। আজ সকালে সংগঠনের একটি মিটিং ছিল। হঠাৎ খবর পাই তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি জানান, স্বামীকে নিয়ে তিনি সোনাডাঙ্গা থানার পল্লীমঙ্গল মাদ্রাসার সামনে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। যে বাসায় গুলির ঘটনা ঘটেছে সেটি তাদের বাসা নয়।


Facebook page follow 👇


Facebook page 📄

News 📰 Bhaluka Television 



Comments

Popular posts from this blog

কমছে হজের খরচ, প্যাকেজ ঘোষণা আজ

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী

শিগগিরই গঠন হচ্ছে নতুন ২ বিভাগ, বাড়ছে উপজেলার সংখ্যাও